জুবিলী রোড এলাকার ইলেকট্রিক মার্কেটের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নিকট মোঃ ফারুক হোসেন ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাষ্টিজ পিএলসি প্রতিষ্ঠানের এলইডি এক্সেসরিজ (ওয়ালটন সেইফ ইমার্জেন্সি বাল্ব, এল ই ডি বাল্ব, টেপ, নেট ফ্যান, সিলিং ফ্যান, চার্জার ফ্যান, ডিবি বক্স, সারফেস প্যানেল লাইট) বিক্রয় করার নামে নগদ ও চেকে এবং ওয়ালটন সেইফ আইপিএস বিক্রয়ের নামে সর্বমোট ১,৫১,০০,৮৫০/- (এক কোটি একান্ন লক্ষ আটশত পঞ্চাশ) টাকা ও পণ্য গ্রহণ করে উহা প্রতিষ্ঠানকে ও দোকানদারদেরকে ফেরত না দিয়ে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করতঃ তার স্ত্রীর সহযোগিতায় অসাধুভাবে আত্মসাৎ করে এবং স্ত্রী সহ পলাতক হয়। এ সংক্রান্তে ওয়ালটন হাইটেক ইন্ড্রাষ্টিজ পিএলসি প্রতিষ্ঠানের রিজিওনাল সেলস ম্যানেজার জনৈক মোহাম্মদ নবী আলম তার বিরুদ্ধে নগরীর কোতোয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা রুজু করেন।
উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই/মোঃ মেহেদী হাসান বিশ্বস্ত গুপ্তচর নিয়োগ করে অভিযুক্তের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। একপর্যায়ে গোপন সূত্রে সংবাদ প্রাপ্ত হয়ে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্স নিয়ে পাবনা সদর থানাধীন রাধানগর যোগীপাড়া মাঠপাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোঃ ফারুক হোসেন এর স্ত্রী নুরজাহান বেগম (২৬) কে গ্রেফতার করেন।
ধৃত ব্যাক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদে আত্মসাৎকৃত টাকা তার বাসার মাটির নিচে লুকায়িত আছে বলে স্বীকার করে। পরবর্তীতে তার দেখানো মতে তার ঘরের মাটির নিচে লুকায়িত ০২টি কলসি এবং ঘরের ভিতরে রক্ষিত ০১টি মুড়ির টিনের কৌটার ভিতর হতে নগদ ৩২,৮৯,০০০/- (বত্রিশ লক্ষ ঊননব্বই হাজার) টাকা উদ্ধার করা হয়।
ধৃত ব্যাক্তির হেফাজত হতে পলাতক মোঃ ফারুক হোসেনের আত্মসাৎকৃত ও কাজে ব্যবহৃত ০১টি ল্যাপটপ, ০১টি মোবাইল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করা হয়। অদ্য ০১/০৫/২০২২ইং তারিখ আসামীকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়।